রামুতে ডিবির সাথে ইয়াবা কারবারির ‘গোলাগুলি’, ২০ হাজার ইয়াবাসহ যুবক আটক

আনছার হোসেন ◑

কক্সবাজারের  রামুর বাইপাস সড়কে ইয়াবা হাতবদলকালে এক ইয়াবা পাচারকারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই সময় দুই পাচারকারি ইয়াবা ফেলে ডিবি সদস্যদের গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে দুইটি প্যাকেটে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

ইয়াবা পাচারে জড়িত ধৃত ব্যক্তি হলেন রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি চৌধুরীর পাড়ার চা বাগান এলাকার চেমলীর বাপের বাড়ির বজল আহমদ ও দিল ছাফা বেগমের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (২৬)।

পলাতক দুই পাচারকারি হলেন উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা গরুবাজার এলাকার আবুল হাশেম (২৫) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার মাহমুদুর রহমান দাছরা (৪০)। এই দুইজনের বাবার নাম পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১২টার দিকে ডিবি পুলিশ এই অভিযান চালায়। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রূপল চন্দ্র দাস, পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, পরিদর্শক এস এম মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক রাজীব কুমার সুত্রধর ও সহকারি উপ-পরিদর্শক মো. সাজিদুল ইসলাম।

গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া জানান, গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম রামু বাইপাসের ফুটবল চত্ত্বর এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে গোপন খবর পায়, কতিপয় ইয়াবা কারবারি রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের অধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নাইক্ষ্যছড়িগামি সংযোগ পয়েন্টের মনজুর আলমের দোকানের সামনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে। এই খবর পেয়েই দলটি সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছায়। ওই সময় তিনজন ব্যক্তি একটি সাদা চটের বস্তা হস্তান্তর করছেন।

তিনি জানান, ওই সময় গোয়েন্দা সদস্যরা তাদের ঘেরাও করে ফেলেন। ইয়াবা পাচারকারিরা তখন পালানোর চেষ্টা করে দৌঁড়াতে থাকেন। পুলিশও পিছু ধাওয়া করলে তারা গোয়েন্দা সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। ওই সময় দুই পাচারকারি পালিয়ে গেলেও আলমগীর হোসেন নামের একজনকে ধরতে সক্ষম হয় গোয়েন্দা সদস্যরা।

মানস বড়ুয়া বলেন, ইয়াবা পাচারকারিরা গুলি করতে করতে পালানোর সময় হাতে থাকা সাদা চটের বস্তাটি ফেলে যায়। পরে ওই বস্তায় দুইটি প্যাকেটে ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব কুমার সুত্রধর বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

গোয়েন্দা পুলিশ সুত্র মতে, এই অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশের তিনজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক ও একজন সহকারি উপ-পরিদর্শক এবং ৫ জন কনস্টেবল অংশগ্রহণ করেন।